• 01911396748
  • rpcbangladesh@gmail.com
পায়ের গোড়ালির ব্যথা: ক্যালকেনিয়াস স্পোর—কারণ, লক্ষণ এবং করণীয়

পায়ের গোড়ালির ব্যথা: ক্যালকেনিয়াস স্পোর—কারণ, লক্ষণ এবং করণীয়

আপনার কি কখনো সকালে ঘুম থেকে উঠে হাঁটতে গিয়ে পায়ের গোড়ালিতে তীব্র ব্যথা অনুভূত হয়েছে? কিংবা দিনের শেষে অনেকক্ষণ বসে থাকার পর দাঁড়ালে আপনার গোড়ালিতে ব্যথা অনুভব করছেন? এই ব্যথা ক্যালকেনিয়াস স্পার বা হিল স্পার হতে পারে, যা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বিশাল অসুবিধার কারণ হতে পারে। আসুন, এই সাধারণ অথচ দুর্বিষহ সমস্যাটি সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই।

 

ক্যালকেনিয়াস স্পার কী?

ক্যালকেনিয়াস স্পার হলো পায়ের গোড়ালির হাড়ের (ক্যালকেনিয়াম) নিচের দিকে হাড়ের অতিরিক্ত বৃদ্ধি। এটি দেখতে ছোট কাঁটার মতো হয়, যা হাঁটার সময় বা পায়ের ওপর চাপ পড়লে ব্যথার সৃষ্টি করে। যদিও এই স্পার সাধারণত খুব ছোট হয়, তবে এটি পায়ের নরম টিস্যুতে জ্বালা এবং প্রদাহ সৃষ্টি করতে পারে, যা হাঁটাহাঁটি বা দৈনন্দিন কাজকর্মকে কঠিন করে তোলে।

 

কেন হয় ক্যালকেনিয়াস স্পার? 

ক্যালকেনিয়াস স্পার সাধারণত দীর্ঘমেয়াদী চাপ বা প্রেশারের কারণে হয়। এটি কিছু নির্দিষ্ট অবস্থার কারণে ত্বরান্বিত হতে পারে:

 

1. প্লান্টার ফ্যাসাইটিস (Plantar Fasciitis): পায়ের নিচের অংশে একটি মোটা ব্যান্ড যা পায়ের আর্চ ধরে রাখে। এই ব্যান্ডের প্রদাহ দীর্ঘদিন থাকলে হিল স্পারের কারণ হতে পারে।

 

2. অতিরিক্ত ওজন: শরীরের অতিরিক্ত ওজন পায়ের গোড়ালিতে অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে, যা হাড়ের অতিরিক্ত বৃদ্ধি ঘটাতে পারে।

 

3. প্ল্যান্টার ফ্যাসিয়ার অতিরিক্ত টান: প্ল্যান্টার ফ্যাসিয়া টানতে টানতে হিলের সাথে যুক্ত জায়গায় ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র ক্ষত তৈরি হয়, যা হাড়ের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে।

 

4. পায়ের অনুপযুক্ত জুতা: এমন জুতা যা পর্যাপ্ত আরাম দেয় না বা পায়ের সাপোর্ট করে না, তা হিল স্পার তৈরি করতে পারে।

 

লক্ষণ: কীভাবে বুঝবেন আপনার ক্যালকেনিয়াস স্পার হয়েছে?

ক্যালকেনিয়াস স্পারের প্রধান লক্ষণ হলো পায়ের গোড়ালিতে তীব্র ব্যথা, যা সাধারণত সকালে বা দীর্ঘ সময় বসে থাকার পর প্রথম পদক্ষেপে বেশি অনুভূত হয়। এছাড়াও:

 

- গোড়ালির নিচের অংশে তীব্র বা মৃদু ব্যথা।

- হাঁটতে বা দৌড়াতে অসুবিধা হওয়া।

- দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকলে বা হেঁটে চলতে গেলে ব্যথা বাড়তে পারে।

 

ক্যালকেনিয়াস স্পার থেকে মুক্তির উপায়

ক্যালকেনিয়াস স্পারের চিকিৎসা বিভিন্ন পদ্ধতিতে করা যেতে পারে। এরমধ্যে কিছু ফিজিওথেরাপি এবং জীবনযাত্রার পরিবর্তন রয়েছে যা কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে:

 

1. স্ট্রেচিং এবং স্ট্রেনথেনিং এক্সারসাইজ: প্লান্টার ফ্যাসিয়া এবং অ্যাকিলিস টেন্ডনের স্ট্রেচিং এক্সারসাইজ ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। গোড়ালির পেশি এবং লিগামেন্ট শক্তিশালী করতে ব্যায়াম করা যেতে পারে।

 

2. অর্থোটিক্স এবং সাপোর্টিভ ফুটওয়্যার: পায়ের আর্চকে সাপোর্ট দেয় এমন অর্থোটিক্স বা জুতা ব্যবহার করে ক্যালকেনিয়াস স্পারের ওপর চাপ কমানো যায়।

 

3. ফিজিওথেরাপি: ফিজিওথেরাপিস্টের তত্ত্বাবধানে প্লান্টার ফ্যাসিয়ার মবিলিটি এবং পায়ের পেশি শক্তিশালী করার জন্য বিভিন্ন থেরাপিউটিক ব্যায়াম এবং ম্যানুয়াল থেরাপি করা হয়।

 

4. হিট এবং কোল্ড থেরাপি: গোড়ালিতে বরফ প্রয়োগ করে প্রদাহ কমানো যেতে পারে, আবার তাপ প্রয়োগ করে পেশি শিথিল করা যায়।

 

5. ওজন নিয়ন্ত্রণ: ওজন কমানো গেলে পায়ের গোড়ালির ওপর চাপ কমে, ফলে ব্যথা নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হয়।

 

বাংলাদেশে ক্যালকেনিয়াস স্পারের প্রভাব

বাংলাদেশে ক্যালকেনিয়াস স্পারের সঠিক পরিসংখ্যান না থাকলেও, গ্রামাঞ্চলে এবং শহরাঞ্চলে অনেক মানুষই এই সমস্যায় ভুগছেন, কিন্তু প্রায়ই এটি সঠিকভাবে নির্ণয় বা চিকিৎসা করা হয় না। ফলে দীর্ঘমেয়াদী ব্যথা এবং অক্ষমতা সৃষ্টি হতে পারে, যা জীবনযাত্রার মান কমিয়ে দেয়।

 

ক্যালকেনিয়াস স্পার প্রতিরোধের উপায়

ক্যালকেনিয়াস স্পার প্রতিরোধ করা কঠিন হলেও কিছু সাবধানতা অবলম্বন করলে এর ঝুঁকি কমানো যেতে পারে:

 

- সঠিক সাপোর্টিভ ফুটওয়্যার ব্যবহার করুন।

- নিয়মিত স্ট্রেচিং এবং পায়ের ব্যায়াম করুন।

- ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন।

- দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকার প্রয়োজন হলে মাঝে মাঝে বিশ্রাম নিন।

  

ক্যালকেনিয়াস স্পার একটি সাধারণ সমস্যা হলেও এটি আপনার জীবনে বিশাল অসুবিধার কারণ হতে পারে চমৎকার এবার মাসেল ইস্পাজন নিয়ে সুন্দর একটি আর্টিকেল লেখ যেখানে বাংলাদেশের প্রিভিলেন্সের দরকার নেই তবে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে আর্টিকেলটা লিখবে

Comments

Subscribe To Our Newsletter